যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র প্রথমবারের মতো রাশিয়ায় ছুড়েছে ইউক্রেন। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) এ হামলা চালানো হয়।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বিকাল ৩টা ২৫ মিনিটে এই হামলা হয়। একটি ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ পড়ার পর আগুন ধরে যায়। দ্রুত ওই আগুন নেভানো হয়। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইউক্রেন মঙ্গলবার আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেম (এটিএসিএমএস) ব্যবহার করে রাশিয়ার ব্রিয়ানস্ক এলাকায় হামলা করেছে। ৫টি ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে। এছাড়া ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষের কারণে ওই এলাকায় একটি সামরিক স্থাপনায় আগুন ধরে যায়।

যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে এ ধরনের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ার ভূখণ্ডে হামলার অনুমতি দেওয়ার পরপরই এ ঘটনা ঘটলো।

রাশিয়ার ব্রিয়ানস্ক অঞ্চলের কারাচেভ শহরের কাছে একটি গোলাবারুদের গুদামে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী। তাদের দাবি, এই হামলার পর ১২টি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তবে হামলায় আটাকমস ব্যবহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেনি ইউক্রেন।

এদিকে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন অনুমোদন করা নতুন পারমাণবিক নীতিমালায় বলা হয়েছে, কোনো অ-পরমাণবিক রাষ্ট্র যদি রাশিয়ার বিরুদ্ধে আক্রমণ চালায় এবং তাতে কোনো পারমাণবিক শক্তিধর দেশের সমর্থন পায়, তবে সেটি যৌথ আক্রমণ হিসেবে বিবেচিত হবে।

এমন পরিস্থিতিতে ওই দেশটিতে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালাতে পারবে রাশিয়া। এমন বাস্তবতায় প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি রাশিয়া এবার ইউক্রেনে পারমাণবিক হামলা চালাবে। বিশ্ব কি তবে পারমাণবিক যুদ্ধের মুখোমুখি? তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ কি তবে লেগেই গেল? সূত্র : বিবিসি

বাংলা স্কুপ/ডেস্ক/এসকে